দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান থেকে সরবে না বলে জানিয়েছেন প্যানেলের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহাকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যাশীরা।
এ আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক ইলিয়াস ভুইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা প্রথমে প্রেসক্লাবে অবস্থান করেছি। সরকার আমলে নেয়নি। তাই আমরা পরিস্থিতি বিবেচনায় দেখেছি, এখানে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের আর ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
এদিকে কাফনের কাপড় পরে টানা তৃতীয় দিনের মতো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন প্যানেল প্রত্যাশীরা।
তাদের দাবি, ২০১৪ সালের পরে আমরা এ প্রথম একটি নিয়োগ পেয়েছি। আমাদের অনেকের চাকরির বয়স শেষ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন আবেদনের সুযোগ নেই। তাছাড়া আমরা সবাই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করেছি। সুতরাং আমাদের বাদ দিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি অমানবিক।
এ প্রসঙ্গে সংগঠনের সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে অনেক আবেদন নিবেদন করেও ফল না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছি। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার পরো শূন্য পদে তাদের নিয়োগ না দিয়ে কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করেছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত দুটি নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫৬ হাজার ৯৩৬ প্রার্থী গত এক বছর ধরে প্যানেল শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের দাবি করে আসছেন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে স্থগিতের পর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯ হাজার ৭৮৮ জন এবং ২০১৮ সালে নিয়মিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ১৪৮ জন প্যানেলভুক্তির দাবি জানান।
জাগরণ/এমআর
Leave a Reply