ধর্ষণের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীর ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক দিবসের আলোচনা সভায় একথা জানান তিনি।
এর আগে সকাল সাড়ে সাতটায় জগন্নাথ হলের স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর লালবাগ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে করা হয়। পরে ২১ সেপ্টেম্বর তিনি কোতোয়ালি থানায় একই অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন। এছাড়ও গতকাল (১৪ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সাম জগলুল হোসেনের আদালতে আরো একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করনে।
মামলায় প্রধান আসামি বা ধর্ষণকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী হাসান আল মামুনকে (২৮)। মামলার অন্য আসামিরা হলেন – বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর (২৫), ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম (২৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি নাজমুল হুদা (২৫) ও আব্দুল্লাহিল বাকি (২৩)।
আমরণ অনশনে বসা সেই ছাত্রী অভিযোগে, ‘তার সঙ্গে হাসান আল মামুনের পরিচয়ের সূত্র ধরে বিভিন্ন সময়ে ম্যাসেঞ্জার, ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কথোপকথন হয়। সেখানে আমাকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেওয়া হয়। গত ৩ জানুয়ারি দুপুরে হাসান আল মামুন আমাকে তার রাজধানীর নবাবগঞ্জ, মসজিদ রোড, ১০৪ নম্বর বাসায় যেতে বলে। সেখানে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে।’
জাগরণ/এমআর
Leave a Reply