জাহিদুল ইসলাম /// বাকেরগঞ্জ গারুড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবপুর গ্রামে পরকীয়ার কারণে ৩ সন্তানের জনক ও ২ সন্তানের জননীর মধ্যে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে, এই ঘটনার দুইদিন পর রাত ১১ টায় ধর্ষিতা থানায় মামলা করতে এলে। তার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত ঘটনা তদন্তের জন্য ওসি নিজে বাদীপক্ষ সহ ঘটনা স্থলে গিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে জানতে পারেন। ১ নং আসামি আলাউদ্দিন জোর পূর্বক ধর্ষন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাদী সহ স্থানীয়রা ধর্ষককে আটক করেন। সংবাদ পেয়ে ধর্ষকের স্ত্রী ও মেয়ে ছাড়িয়ে নিতে এলে তাদের ও ক্ষুব্ধ জনতা ঘরের মধ্যে আটক করে রাখেন। এ ঘটনায় এক পর্যায় ধর্ষকের শ্বশুর হাচন আলী ও স্থানীয় স্বরূপ আলী গিয়ে মেম্বার বাবুল খানেকে ম্যনেজ করে ঘটনা স্থল থেকে ধর্ষককে ছাড়িয়ে নেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বাদীপক্ষ মেম্বার বাবুলকেও ধর্ষনের আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ওসি নিশ্চিত হন অভিযুক্ত ২ নং আসামি বাবুল খান এলাকার একজন জনপ্রিয় ওয়ার্ড সদস্য আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে তার প্রতিপক্ষের লোকদের প্ররচনায় বাদীপক্ষ মেম্বার বাবুলকেও ভিকটিম করে অভিযোগ দায়ের করেন যা সত্যি নয়। এ বিষয় টি পরবর্তীতে অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষ বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায় বাদী স্বীকার করেন। আসামি বাবুল তাকে ধর্ষন করেনি। পরবর্তীতে বাদীর সন্মতিক্রমে এজাহারে ২ নং আসামি বাবুলকে ধর্ষক আলাউদ্দিনকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগে আসামি করা হয়েছে যার মামলা নং১৩/২০২১। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় প্রতিপক্ষরা ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহীত করতে বাদীনিকে প্ররচিত করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে ওসিকে জড়িয়ে সংবাদ পরিবেশন করেন। যা অদ্য সত্যি নয়। এ বিষয় ওসি তদন্ত নকিব আকরাম জানান ঘটনাটি আমি নিজেও একাধিক বার ঘটনা স্থলে গিয়ে তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছি। বর্তমানে আসামিদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অবহত রয়েছে। যে কোনো মূল্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের হাতে স্বপর্দ করা হবে। এ মূহুর্তে থানা প্রশাসনকে জড়িয়ে নিউজ করাটা ঠিক নয় তিনি সকল সাংবাদিক ভাইদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে আসামিদের গ্রেফতারে জন্য সকলের সহায়তা কামনা করছেন।
Leave a Reply